গাজীপুর মহানগরের পোড়াবাড়ি এলাকায় শাহ সুফি ফসিহ উদ্দিন মাজারে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদের কয়েকশ’ মুসুল্লী একযোগে মাজারের সীমানা প্রাচীর, মাজারের পাকা ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে এবং আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন মালামালে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফসিহ উদ্দিন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার এক শিক্ষক জানান, জুম্মার নামাজের পর পর আশেপাশের কয়েকটি মসজিদ হতে কয়েকশ’ মুসুল্লী ভাড়া করা একটি এসকেভেটর (ভেকু), লাঠি-সোটা ও শাবল-রড নিয়ে আল্লাহু-আকবর ধ্বনিতে মাজারে হামলা চালায়। তারা মাজারের পাকা সীমানা প্রাচীর, খাদেমের ঘর, মোমবাতি-আগরবাতি রাখার ঘর ও মাজারের পাকা মূলভবন এবং কবরস্থান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। পরে সেখানে তারা আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন মালামালে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় মাজারের খাদেম এবং ভক্তরা মাজার থেকে পালিয়ে যায়। ভাংচুরকালে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো জানান, ৮০’দশকের দিকে মহানগরীর সদর থানা এলাকার পোড়াবাড়ি বাজারের দক্ষিণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ওই মাজার গড়ে উঠে। মাজার চত্বরে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা ছাড়াও সেখানে ফসিহ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা ও মসজিদ রয়েছে। এ মাজার তথা ফসিহ উদ্দিনের ভক্তদের দানের টাকায় চলে এসব মসজিদ-মাদ্রাসার খরচ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মুসুল্লী জানান. মাজারের শিরক, বেদ’াত কার্যক্রম, গাঁজাসেবনসহ নানা অনৈসলামিক কাজক্রম হয়। তাই এলাকার মুসুল্লীরা পরামর্শ করেই এ মাজার গুড়িয়ে দেয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (সদর জোন) সহকারি কমিশনার মো. মাকসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।