আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে ইসলাম বিদ্বেষের ওপর বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম।আজ শুক্রবার সকালে শহরের জেলা শিল্পাকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এটি এম মাসুম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে ইসলাম বিদ্বেষের ওপর। ইসলামকে নির্মূল করা। ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান সেটা তারা গত ১৫ বছর মানুষের কাছে তুলে ধরেছে। তারা জামায়াতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এমন আচারণ করেছে, যে আচারণ পশুও পশুর সঙ্গে করতে পারে না। তারা নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে, মিথ্যা বিচারপতি দিয়ে ফাঁসি দিয়েছে। এ দেশের মানুষের কাছে তাদের অপকর্ম পরিস্কার। ’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঝড়ে আওয়ামী লীগ অপশক্তিকে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ। এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরাও আছে। তারা আলাদা কোনো নাগরিক নয়, তারাও বাংলাদেশের নাগরিক। এখানে তারাও জন্ম নিয়েছেন। আমরা মুসলমানরা তাদের সমান অধিকার দিয়ে সম্মলিতভাবে মিলেমিশে এদেশে বসবাস করতে চাই। আমরা কারো দাদাগিরিকে মেনে নিব না এবং গ্রহণ করব না।’

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ জাময়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘আপনারা এমন নেতাদের পিছনে ঘুরলেন যারা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বললেন- ‘‘শুধু দলের প্রতি নয়, দেশের প্রতিই আমাদের দায়িত্ব নাই। ’’ আমরা ধিক্কার জানাই যারা প্রাচীন দল হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন এই আন্দোলনকে দমন করা যাচ্ছে না, তখন তারা যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী এবং ছাত্র শিবির নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়। শেখ হাসিনা বিগত ১৫ বছর আমাদের কোনো উপকার করতে পারে নাই। কিন্তু ১ আগস্ট জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে আপনি একটা উপকার করে দিয়ে গেলেন। এই ২০২৪ সালে নিষিদ্ধের মাধ্যমে এই আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জামায়াতকে আপনি চিহ্নিত করে দিয়েছেন। এটাই প্রমাণিত হয়েছে ছাত্র-সমাজ জামায়াত ইসলামী এবং ছাত্রশিবিরকে বুকে ধারণ করে বিজয়ের পতাকা তারা উর্ত্তীণ করেছে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণের আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ জেলার আমীর মমিনুল হক সরকার, মুন্সিগঞ্জ জেলা আমীর আ জ ম রুহুল কুদ্দুস, নরসিংদী জেলা আমীর মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক প্রিন্সিপাল ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া।