সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ও টাকা-স্বর্ণলংকার চুরির অভিযোগে মামলা করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী রেহেনা পারভীন।
২০১৩ সালে ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে মামলায় অভিযোগ।
আজ বুধবার দায়ের হওয়া এ মানলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানম বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
ভিকটিম বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-পরিবেশ সম্পাদক বলে মামলায় বলা হয়েছে।
মামলার অপর আসামির হলেন, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ওয়াকার্স পার্টি সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী যুবলীগের সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী,আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামাল সোহাগ, ছিদ্দিক নাজমুল আলম, ওয়াহিদুল আলম আরিফ, সাদিয়া সুলতানা (রত্মা), রাজা মান্না তালুকদার, মোহাম্মদ রবিন হোসেন, বাদল পাঠান, মো. আপন মিয়া, মো. তুহিন চৌধুরী, কাজী মো. সৌরভ ও মনিষা দেওয়ান। এছাড়া মামলায় আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তিন শতাধিক আইনজীবী। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ পুলিশের ৪০-৫০ জন মাঠ প্রশাসনের পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় বাদী আইনজীবী রেহেনা পারভীনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
বাদী অভিযোগে আরও বলেন, ‘আসামিদের নির্দেশ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রে যৌথ হামলায় বাদীসহ বেশ কয়েকজন নারী/পুরুষ আইনজীবী মারাত্মকভাবে আহত হন এবং আইনজীবীদের ব্যবহৃত ওয়ালেট, পার্টস, টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাদী আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।