বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসিফ হাসান। তার স্মৃতিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরকে ‘আসিফ চত্বর’ নামকরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটায় ‘আসিফ চত্বর’-এর স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এসময় দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহিদ আসিফের গর্বিত পিতা মাহমুদ আলম, মাতা, ভাই, ফুফু সহ পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, আসাদ বিন রনি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় সজন, মাহামুদুল হাসান, মহিউদ্দিন নোবেল, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন. শহিদ হওয়াটা যখন গৌরবের ও মর্যাদার, তখন বেঁচে থাকাটা অপরাধের মনে হয়।
তিনি বলেন, আসিফসহ অন্যান্য শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম কাজ হচ্ছে বাংলাদেশকে সংস্কার করা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অবদান ও আত্মত্যাগ বিশেষ করে আসিফের আত্মত্যাগকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য নর্দান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাই।
শহিদ আসিফের পিতা মাহমুদ আলম তার বক্তব্যে বলেন- আমার সন্তান শহিদ আসিফের জন্য নর্দান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ যে সম্মান দেখাল আমি তাতে বিশ্বদ্যিালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। এক আসিফ চলে গেছে, আসিফের মতো হাজারো শহিদের ত্যাগের শক্তিতে লক্ষ আসিফরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎসাহিত হবেন।
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বেগবান করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, এই আন্দোলনে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসিফ হাসান শহিদ হয় এবং অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। আন্দোলনের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে ছিল এবং আহত ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ কর্তৃপক্ষ বহন করেছে এবং করবে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শহীদ আসিফ হাসানের বিদেহী আত্মার মাগফিরত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।