বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী দীপ্ত দে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে মাদারীপুরের আদালতে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দেন।

নিহত দীপ্ত দে (২২) মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার স্বপন দের ছেলে। তিনি মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ছাড়াও অন্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিরা হলেন- মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূর-ই আলম লিটন চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য-২ শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাদারীপুর-৩ আসনের আরেক সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোহবান মিয়া গোলাপ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিকসহ মোট ২৭ জন।

এর আগে শহিদ রোমান বেপারী হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই সকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শহরের শকুনী লেক এলাকায় গেলে আসামিরা মাদারীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীকে দীপ্তকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে লেকের পানিতে পড়ে যায়। ওই দিন দুপুরে শকুনী লেক থেকে দীপ্তর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

মামলার বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যে শহিদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছি, তাদের রক্তের দাম দেওয়ার জন্যেই মামলা করেছি। আশা রাখি, মামলায় আমরা ন্যায়বিচার পাব। স্বৈরাচারী হাসিনার বিচার এ দেশে হবেই হবে।