আমাদের বিরুদ্ধে ভারতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকলে বা সত্য হলেও সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। এই নিষেধাজ্ঞায় আমাদের কিছু আসে যায় না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।
গতকাল রবিবার ‘ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করে দ্য মিরর এশিয়া। সেখানে অন্যান্যদের সঙ্গে নুসরাত তাবাসসুমের নামও রয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি একথা বলেন।
সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসু বলেন, ‘দ্য মিরর এশিয়ার নিউজটা ছাড়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমি আসলে কিছুই জানি না বা কিছু শুনিনি। এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান হাই কমিশনার থেকেও আমাদেরকে কিছু জানানো হয়নি, দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিও কিছু জানায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই যেমন মিরর এশিয়ার খবরটা দেখেছেন অনলাইনে, আমিও সেরকমই দেখেছি। এর বেশি কিছু জানি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা সত্য কিনা সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকলেও বা সত্য হলেও সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। এই নিষেধাজ্ঞায় আমাদের কিছু আসে যায় না। কারণ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান স্পষ্ট। এজন্য, যদি নিষেধাজ্ঞা দিয়েও থাকে তাহলে মনে করছি যে, এতে আমাদের আন্দোলন পূর্ণতা পেল।’
এদিকে দ্য মিরর এশিয়া জানিয়েছে, ভারতবিরোধী জনতাকে উসকে দেওয়া ও ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠজনদের ভিসা না দেওয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নুসরাত তাবাসসুম।