অবশেষে কর আদায়ের অর্পিত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে আলোচিত ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোছা: ফাতেমা খাতুনকে। সম্প্রতি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে। উপজেলার রাণীনগর-গোনা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোছা: ফাতেমা খাতুনের বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবদেনগুলো ব্যাপক ভাইরাল হয়। বিশেষ করে সম্প্রতি “১০৭টাকার খাজনার জন্য ঘুষ দিতে হয় আড়াই হাজার টাকা” শিরোনামে দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

এছাড়া কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বহিরাগত দালালকে ভূমি অফিসে বসিয়ে ঘুষ বাণিজ্য করা, সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে একাধিকবার প্রতিবদেন প্রকাশিত হয়। এমন প্রতিবদেনের প্রেক্ষিতে তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় মোছা: ফাতেমা খাতুনের উপর অর্পিত ভ’মি উন্নয়ন কর আদায় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের দায়িত্বভার সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার মো: সিরাজুল ইসলামের উপর প্রদান করা হয়েছে।

১০৭টাকার খাজনা প্রদানে আড়াই হাজার টাকা ঘুষ দেয়া ভুক্তভোগী কাজী গোলাম কুদ্দুস বলেন এমন দুর্নীতবাজ কর্মকর্তার জন্য এই শাস্তিটুকু অনেক কম হয়ে যায়। এমন কর্মকর্তাদের জন্য আজ ভূমি অফিসগুলো ঘুষ বাণিজ্য আর অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। যদি এই দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তাকে দ্রুত এই অফিস থেকে বদলী করা না হয় তাহলে আমরা ভুক্তভোগীরা আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান বলেন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে ফাতেমাকে তার উপর অর্পিত কর আদায়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছি। পরবর্তি নির্দেশনা ছাড়া তিনি কর আদায়ের কোন কাজই করতে পারবেন না। যদি আবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোঃ খালেদ বিন ফিরোজ
নওগাঁ প্রতিনিধি