নওগাঁর রাণীনগরের শিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচিত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন মিথ্যে অভিযোগ তুলে জোরপূর্বক তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এসময় তারা প্রধান শিক্ষককে দূর্নীতিবাজ, অর্থলোভী, ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল কারীসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এসময় তারা বলে, তিনি বিভিন্ন সময় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে তিনি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত ফি আদায় করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও এর আগে প্রায় দেড় শতাধিক ভুয়া শিক্ষার্থীর নামে প্রধান মন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। সেই ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরও অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম তুলে ধরে তার অপসারণ দাবি করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এর একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, কতিপয় এলাকাবাসী,অভিভাবক ও আমার কিছু শিক্ষার্থী এসে পদত্যাগ দাবি করে। আমি পদত্যাগ করতে না চাইলে তারা আমাকে গালিগালাজ করে। পরে জোরপূর্বক আমার পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়।

মোঃ খালেদ বিন ফিরোজ
নওগাঁ প্রতিনিধি