গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চুক্তিভিত্তিক ও মাষ্টাররোল হিসেবে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের চাকরি স্থায়ী করণের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। পরে প্রশাসক বরাবর তাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেন তারা।
চুক্তিভিত্তিক -মাস্টাররোল কর্মকর্তা কর্মচারি কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে নগরীর ৮টি জোনের সহস্রাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারি যোগ দেন।

চুক্তিভিত্তিক -মাস্টাররোল কর্মকর্তা/কর্মচারি কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটি সদস্য প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেনসহ আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জানান, ২০১৩ সালের ১৬ ই জানুয়ারি গাজীপুর সদরের সাবেক ২টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত হয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার প্রায় ১১ বছর অতিবাহিত হলেও পৌরসভা হতে এই পর্যন্ত নগর উন্নয়নের জন্য কোনো স্থায়ী জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যার ফলে মাষ্টাররোল/চুক্তি ভিত্তিক অনেকেই তিন থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটিতে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ২২৫ জনের অধিক মাষ্টাররোল/চুক্তি ভিত্তিক ও দৈনিক মজুরী ভিত্তিক জনবল এই নগরের প্রতিটি মানুষকে সেবা প্রদান করছেন।

প্রায় ৪০ লক্ষ জনগণের শিল্প নগরীর অধ্যুষিত এই নগরে সেবা প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত স্থায়ী জনবল নেই। নামমাত্র জনবল দ্বারা নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও এই ১ হাজার ২২৫ জনের অধিক মাষ্টাররোল/চুক্তি ভিত্তিকও দৈনিক মজুরী ভিত্তিক জনবল দ্বারা নাগরিক সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। সামান্য বেতনে বর্তমান বাজারে দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতির জন্য এসব কর্মকর্তা-কর্মচারি মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, সর্ববৃহৎ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ৪০ লক্ষ জনগনের শিল্প নগরির নাগরিকদের অধিকার ও তাদের পর্যাপ্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিতকল্পে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন সেবা মূলক শাখায় কর্মরত মাষ্টাররোল/চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীদের অতিবিলম্বে স্থায়ী করনের এক দফা এক দাবী আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের নবনিযুক্ত প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলামে নিকট দৃশ্যমান অগ্রগতির বাস্তবায়নের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, মাস্টার রোল ও চুক্তিভিত্তিক কর্মরত কর্মকর্তাকর্মচারিদের স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।