পাবনা আমিনপুর থানায় সিএনজি চালক ইমরান হত্যা মামলায় ৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের জেল দিয়েছে পাবনার স্পেশাল জজ আদালত।
আজ সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পাবনা স্পেশাল বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা জজ আহসান তারেক এই রায় দেন ।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের হচ্ছেন, জেলার আমিনপুর জগনাথপুর গ্রামের আবুল আবুল কাশের ছেলে কালাম (৩৫) , লোকমান আলীর ছেলে মোকছেদ আলী (৪৫) ফজলুল হকের ছেলে মুক্তার হোসেন (৩৫)। রায় ঘোষনার সময় এই তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক দুই দন্ডপ্রাপ্ত হলেন, রাজনারায়ন পুর গ্রামের বাছেদ আলীর ছেলে আপেল মাহমুদ (৪১) ও মজিদ আলীর ছেলে জাহিদ (৫০)।
মামলা সূত্রে জানা যায় ২০০৭ সালের ১৪ জুলাই রাতে ইমরানকে ফোনে সিএনজি ভাড়া নেয় একই গ্রামের জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম, পরে আবুল কালাম কাশিনাথপুর বাজার থেকে তার অপর ৪ সহযোগীকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।
দুদিন পরে ১৬ জুলাই আমিনপুর থানা চক কৃষ্ণপুর মুজিব বাঁধের পাশে এলাকাবাসী একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ো লাশটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনরা থানায় গিয়ে লাশটি সনাক্ত করে। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্টে তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রদিয়ে হত্যার কথা উল্লেখ করে।
নিহত ইমরানের বাবা কালু সরদার ওই সময়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মামলার প্রধান আসামি আবুল কালামকে আটক করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করে। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষনা করেন।