ছাত্র আন্দোলনে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ শনিবার বেলা ১১টার পরে তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়া গ্রামে আবু সাঈদের বাড়িতে যান। তাঁর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রয়েছেন।

সকাল সাড়ে ১০টার পরে হেলিকপ্টারযোগে ড. ইউনূস ও দুই উপদেষ্টা পীরগঞ্জের মেরিন একাডেমিতে অবতরণ করেন। এরপর তিনি আবু সাঈদের বাড়িতে যান। তিনি ও দুই উপদেষ্টা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন।

কবর জিয়ারত শেষে তিনি বলেন, এটা একটা ঘটনা আমি গ্রামের মধ্যে এসেছি। কিন্তু বিষয়টা এটা না। বিষয়টা হলো এই জায়গাটা হলো মহাকাব্যের জায়গা। মহাকাব্যের যে বীর থাকে, আবু সাঈদ সেই বীর। এটা নিয়ে যুগে যুগে লেখালেখি হবে, স্মরণ করবে সাঈদকে। আজকে সে মাটির নিচে শুয়ে আছে।

ড. ইউনূস আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবারই সন্তান আবু সাঈদ। হিন্দু পরিবার হোক, মুসলমান পরিবার হোক, বৌদ্ধ পরিবার হোক—সবার ঘরের সন্তান এই আবু সাঈদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছোট ছেলে মেয়ে বড় হবে, তারা পড়বে আবু সাঈদের কথা। নিজে নিজেই বলবে, আমিও ন্যায়ের জন্য লড়ব।’

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। এ সময় আবু সাঈদের মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে পীরগঞ্জ থেকে সড়কপথে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহতদের দেখতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখান থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি রংপুর সার্কিট হাউসে অবস্থান করবেন।

আবু সাঈদের বাড়িতে ডাকসুর সাবেক সমাজকল্যাণ–বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমও গিয়েছেন।