কোটা বিরোধী আন্দোলনকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনের ছয়দানার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিটি মেয়র জায়েদা খাতুনের ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িটি পরিদর্শনে যান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আজমত উল্লাহ খান এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলমসহ প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এটা কোন রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। আমরাও সারা জীবন আন্দোলন করেছি, আন্দোলন হয় রাজপথে, হয়তো বা মারামারিও হয়। পক্ষ-বিপক্ষ হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত বাড়ি ঘরে আক্রমন এটা নজির বিহীন ঘটনা। এটা কোন মতেই রাজনৈতিক আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। এটা প্রতিহিংসা মূলক ব্যাপার। জামাত-শিবির বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এখানেও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য মেয়রের বাড়িতে হামলা হয়েছে।
গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাড. আজমত উল্লা খান বলেন, কোটা আন্দোলনকে ইস্যু করে একটি পক্ষ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিল। আমাদের নেতাকর্মীরা সজাগ ছিল। কারফিউ জারি করার পর সেনাবাহিনী মাঠে আসেন, আমাদের নেতাকর্মীদের মাঠ থেকে সরে গিয়েছিল। এ সুযোগে ওই পক্ষ গাজীপুর সিটি মেয়রের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলায় সময় বাড়ির গেট, বাড়ির ভেতরে কয়েকটি জায়গা ও বাইরে ইট পাটকেল ছুঁড়ে বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। এসময় বাড়ির ভেতরের একটি কক্ষে আগুন বা কোন কিছুর বিস্কোরণ ঘটায়। সেখানে কম্পিউটারসহ বেশকিছু মালামাল পুড়ে গেছে। সেটি আগুন না অন্য কিছু তা তদন্তে প্রকাশ পাবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম বলেন, গত শনিবার আন্দোলনের সময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ কেউ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াও, এর আগেরদিন বিকেলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনের ছেলে, সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কোটা আন্দোলনকালে রাজধানীর উত্তরায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীর আলমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে জানা গেছে। এসময় দুর্বৃত্তরা জাহাঙ্গীর আলমের এক ব্যক্তিগত সহকারী হামিদুল ইসলাম জুয়েল মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গাছের সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে। এঘটনায় তার সঙ্গী অন্ততঃ ৩৫/৩৭ জন আহত হন এবং তাদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।