গাজীপুরে সহিংসতার ঘটনায় মহানগরীর বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ৩৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ৬৭৯ জন এবং অজ্ঞাত আরো ২১ হাজার ৭৭০জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় মোট ১৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীর সংখ্যাই বেশী। বৃহস্পতিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জানান, কোটা সংস্কার সংক্রান্ত কোন মামলা রুজু হয়নি। গত ১২ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনায় মহানগরীর ৮টি থানার মধ্যে সদর মেট্রো থানায় ৫টি, বাসন থানায় ৬টি, কোনাবাড়িতে ৭টি, কাশিমপুরে ১টি, গাছায় ৪টি, পুবাইলে ১টি, টঙ্গী পূর্ব থানায় ২টি ও টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি আরো বলেন, সহিংসতায় জামায়াত শিবির ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়িত থাকার প্রমাণ পুলিশের হাতে রয়েছে। সহিংসতা চলাকালে বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা নাশকতার সঙ্গে যুক্ত তাদের ছবি দেখে দেখে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা গেছে যারা নাশকতায় যুক্ত ছিলেন এদের বেশিরভাগই অন্য এলাকা থেকে এসে তান্ডব চালিয়েছেন। এসব সহিংসতার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো বলেন, গাজীপুরে যারা নাশকতা করেছে কারফিউর আগে তারাই ঢাকা ও উত্তরার বিভিন্ন স্থানে তান্ডব চালিয়েছে। কারফিউ ঘোষণার পর তারা ঢাকা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী গাজীপুরে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থানে এসে আশ্রয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা চালায়। হামলায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের ৪৬জন সদস্য আহত হয়েছে। তারা পুলিশের ৮টি পুলিশ বক্স ভাংচুর করে ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। মামলায় যেন কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রাণীর শিকার না হয় সে জন্য পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।