চাকরিতে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আজ মঙ্গলবার সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের একজন রংপুর, একজন ঢাকা ও দুজন চট্টগ্রামের।

রংপুর

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবু সাঈদকে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা

রাজধানীতে ঢাকা কলেজের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আজ বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর।

চট্টগ্রাম

শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ঘে চট্টগ্রামে দুজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের মধ্যে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা গেছে এক যুবককে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজনের একজন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র মো. আকরাম (২৪)। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন সংবাদমাধ্যমকে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই দুজন নিহত হয়েছেন।