সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলা ব্লকেডের অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকায় অবরোধ করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
মহাসড়কে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে মহাসড়কে গিয়েছিলেন কুবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এফ এম আবদুল মঈন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে দেখে জুতা ও পানির বোতল নিক্ষেপ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আজ সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় আসেন উপাচার্য। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে দেখেই ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘দালাল দালাল’ বলে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা জুতা, খালি পানির বোতল নিক্ষেপ করেন উপাচার্যের দিকে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় মহাসড়ক থেকে চলে যেতে বাধ্য হন উপাচার্য।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘উপাচার্যের ইন্ধনেই আজ পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ আমাদের কয়েকজন সহপাঠীর ওপর লাঠিচার্জ করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এসবের মূলে ছিলেন উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে, কাঁদানেগ্যাস ছোড়ে ও ফাঁকা গুলি করে। এতে দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এরপর আরও শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে তারা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।