ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে, এমন কেনো পরিকল্পনা গাজায় বাস্তবায়ন করতে দেবে না।

এক বিবৃতিতে শুক্রবার হামাস জানায়, ‘আমরা যেকোনো নামে বা অজুহাতে গাজায় বিদেশী সৈন্য প্রবেশের যেকোনো প্রস্তাব জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনকে পরাজিত করার পর গাজা উপত্যকার প্রশাসন হবে পুরোপুরি ফিলিস্তিনি বিষয়। আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণই এর সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

এতে আরো বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণ কোনো ধরনের অভিভাবকত্ব কিংবা বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়া কোনো সমাধান মেনে নেবে না।

গাজা যুদ্ধের পর সেখানে কোন ধরনের প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশগুলো নানা রকম মন্তব্য করে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে হামাস এই বিবৃতি দিলো।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়া শুক্রবার দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছেন।

মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র একটি যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে আটক ১২০ পণবন্দীর মুক্তি নিশ্চিত করার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

হামাস জোর দিয়ে বলছে, যেকোনো চুক্তিতে অবশ্য যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয় থাকতে হবে।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর, আনাদুলু অ্যাজেন্সি