সিটি করপোরেশনের অনুমতি না থাকলেও বর্ষাকালে ওয়াসা ও তিতাস গোপনে রাস্তা খুঁড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ ঢাকার মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। রাজধানীর বিআইপি সম্মেলন কক্ষে শনিবার এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশন রাজধানীর খালগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার ৪ বছর পরও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় পথ-ঘাট। সেমিনারে উঠে আসে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রসঙ্গ। এতে খাল পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আইন প্রয়োগের ওপর জোর দেন আলোচকেরা।
সেমিনারে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘শুধু ৩-৪-৫ লাখ টাকা জরিমানা নয়, আইনে যে কারাদণ্ড রয়েছে তাও করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সময় খালসহ বিভিন্ন জলাশয় ভরাট করা হয়। এরপর আবার ড্রেনেজ সিস্টেম চালু করা হয়। এগুলো করার সময়ই আসলে এসব খাল রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘খাল ভরাট করে যারা বাড়ি বানিয়েছেন, তাদের তালিকাটা দেখেন। সেখানে বেশ প্রভাবশালী রয়েছেন। সুতরাং এ কাজে রাজনৈতিক সদিচ্ছার খুব দরকার।’
বর্ষাকালে রাস্তা খোঁড়ার জন্য কোনো সংস্থাকে অনুমতি না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তবে, অনুমতি না পেয়ে ওয়াসা ও তিতাস গোপনে রাস্তা খুঁড়ছে বলে অভিযোগ মেয়র শেখ ফজলের নূর তাপসের।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বিনা অনুমতিতে তারা কয়েকটি সড়ক খনন করে। আমাদের কাছে অনুমতি চাওয়ার আগে তারা ভাবে এই বর্ষায় অনুমতি পাবে না। তখন তারা চুরি করে এই কাজটা করে। তারা এভাবেই সড়কগুলো ধ্বংস করে।’
ভূমিদস্যুদের আগ্রাসন বন্ধ না হলে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন দক্ষিণ ঢাকার মেয়র।