পল্লী বিদ্যুতায়ণ বোর্ড কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোতে বেতন বৈষম্য, মানহীন ও নি¤œমানের মালামাল সরবরাহের কারণে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা নিরসনসহ অভিন্ন চাকুরিবিধি এবং চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সোমবার গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সমিতির প্রধান কার্যালয়সহ ছয়টি জোনাল অফিস ও একটি সাব-জোনাল অফিসের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এ কর্মবিরতিতে যোগ দেন। তারা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সকাল ১০টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরীর নলজানী এলাকাস্থিত গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেন। এসময় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মিটার রিডার ঐক্য পরিষদের সভাপতি সোহেল রানা মিঠু, সিদ্দিকুর রহমান, ফরহাদ হোসেন, রিমা আক্তার, আল জিয়া ও সবুজ মিয়া প্রমূখ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা স্মার্ট ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ণ বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতিকরণসহ অভিন্ন চাকুরিবিধি বাস্তবায়নের দাবি জানান। এছাড়া সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারিদের চাকুরি নিয়মিতকরণের দাবিও জানানো হয়। তারা আরো বলেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকসই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা ও মানসম্মত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতায়ণ বোর্ড কর্তৃক নি¤œমানের বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয়ের মাধ্যমে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত জটিলতা এবং পলিসি প্রণয়ণে অদক্ষতার কারণে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসঙ্গে সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারিগণও প্রতিনিয়ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন।
জানা গেছে, দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারি গত ৫মে থেকে জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে কর্মবিরতিতে নামেন। এসময়ে বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসে বাস্তবায়নের আশ্বাসে তারা সেসময়ে কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে যোগ দেন। কিন্তু গত প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও ওই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার হতে ফের কর্মবিরতি শুরু করেন গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জানিয়েছেন। তবে জরুরি গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।