ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিমকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে ঝিনাইদহ কারাগারে পাঠানোর জন্য কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে এক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ বাবুকে নিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযানের নির্দেশ দেন আদালত।
আজ বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করে বলেন, ‘আসামি গ্যাস বাবুর ব্যবহৃত মোবাইলে হত্যা ও হত্যার পরিকল্পনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলামত রয়েছে। যা উদ্ধারের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। উক্ত মোবাইল উদ্ধার করতে পারলে আনার হত্যা ও হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।’
অন্যদিকে বাবুর পক্ষে এ.এস.এম আবুল কাশেম খান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানিতে বলেন, ‘গত ৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঝিনাইদহ থেকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তুলে নিয়ে আসে। সে সময় বাবুর সন্তানকে বলা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিন সকালে বাবুকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরপর থেকে তারা আর যোগাযোগ করেনি। পরে তাকে সায়দাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় ডিবি পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। আর যে মোবাইলের কথা বলা হচ্ছে মামলার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ডিবি পুলিশের সাজানো কথা না বললে তার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হচ্ছে।’
এর আগে গত ৯ জুন আদালত আসামি বাবুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে বাবু স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে গত ১৪ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ওইদিন জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলায় শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।
আনোয়ারুল আজিম ওরফে মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন শেরে বাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন।