সরকারের উন্নয়নকে ‘থুতু দিয়ে জোড়া লাগানো উন্নয়ন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে বিএনপি।
গণবিরোধী সরকারের কারণে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে রিজভী বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামগঞ্জে কখন বিদ্যুৎ আসা যায়, তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। ১৫ মিনিট, আধা ঘণ্টার জন্য বিদুৎ আসে, এরপর উধাও হয়ে যায়। ঈদ উপলক্ষে যে গোস্ত তা নষ্ট হয়ে গেছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অভাবে।
‘যে উন্নয়ন নিয়ে সরকার গর্ব করে, সেটি হচ্ছে থুথু দিয়ে ছেঁড়া টাকা যেমন জোড়া লাগানো যায়, সরকারের উন্নয়নও এমনি। থুতু দিয়ে জোড়া লাগানো উন্নয়ন। এখন ধপাস করে পড়ে গিয়ে সব ভেঙে চুরে তছনছ হয়ে যাচ্ছে।’
তথাকথিত উন্নয়নের নামে সরকার তার ঘনিষ্ঠ কাছের লোকদের লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ওয়াসার পচা পানির দাম ৭ শতাংশ বেড়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আজকের বিক্ষোভ মিছিলে যে আওয়াজ তুলেছেন। এটি ন্যায়সঙ্গত। এটি জনগণের দাবি। গণদাবি। হয়তো সরকার আমাদের মিছিলে গুলি করবে, লাঠিচার্জ, নেতাকর্মীদের ক্রস ফায়ার করবে। আমাদের থামলে চলবে না। রাজপথ নামতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা: মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা: জাহিদুল কবির, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, যুবদলের সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, বিএনপি নেতা ডা: তাজুল ইসলাম লোহানী, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, জাকির হোসেন, সন্জয় দে রিপন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, যাত্রাবাড়ি থানা বিএনপি নেতা শিপন খান, ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ জামাল চৌধুরী আদিত্য, সাব্বির আহমেদ, জাভেদ চৌধুরী, যুবদল নেতা খলিল মৃধা, কাজী মঞ্জুর রহমান, ছাত্রদল নেতা জাকারিয়া হোসেন ইমন, আশরাফুল আসাদ-সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।