আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতে নৌপথে যাত্রী পরিবহণ নির্বিঘ্ন করতে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত নৌপথে সব ধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা নদী বন্দরে সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘোষণা দেন তিনি। এ ছাড়া ঈদে নিরাপদ ভ্রমণে সাধারণ মানুষ ও পুলিশকে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।

এর আগে গত ৬ জুন গুলশানের পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের নৌ-পুলিশ কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌপুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি আবদুল আলীম মাহমুদ জানিয়েছিলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নৌ-রুটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৩ থেকে ২৩ জুন ১১ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাজীরহাট, পাটুরিয়াঘাটে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো হবে। কিছু রুটে বাড়ানো হবে লঞ্চের সংখ্যাও। ঈদের আগে তিন দিন ও পরের তিন দিন মিলে সাতদিন পশুবাহী ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেছিলেন, আবহাওয়া খারাপ থাকলে নৌযান চালানো যাবে না। যাত্রীবাহী হোক কিংবা পশুবাহী, আবহাওয়ার অবস্থা জেনে নৌযান নিয়ে রওনা হতে হবে। নৌ পুলিশ দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করবে। নৌপথে যেকোনো সমস্যায় নৌ পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর- ০১৩২০১৬৯৫৯৮ অথবা ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’-এর মাধ্যমে নৌপুলিশকে জানালে নৌপুলিশ সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নৌপুলিশ প্রধান আরও বলেছিলেন, সিভিলে ও পোশাকে আমাদের সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য আমাদের বাড়তি নজরদারি থাকবে। পশু বিক্রির পর নিরাপদে ব্যবসায়ীরা যাতে নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারেন, সেই লক্ষ্যেও আমরা কাজ করব।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেদিন তিনি বলেছিলেন, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো দুর্ভোগের কারণ হোক, সেটা আমরা চাই না। যারা লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।