সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারো মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্তের ওপারে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন সৃষ্টি হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। দুইপক্ষের মর্টারশেল ও গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এছাড়া মিয়ানমারের দেশের আকাশ সীমায় উড়ছে যুদ্ধবিমান। এতে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের দুই দ্বীপের বাসিন্দারা।

গতকাল বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে মিয়ানমারের ভারী গোলা ও মর্টারশেলের শব্দে শাহপরীর দ্বীপ এবং সেন্টমার্টিন কেঁপে উঠছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসাইন বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারো মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্তের এপারে টেকনাফ সাবরাং শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম বলেন, দ্বীপের পূর্বে চলমান যুদ্ধে মিয়ানমারের রাখাইন মংডুতে হাসসুরাতা ও মেরুল্ল্যা গ্রামে ব্যাপক মর্টার শেলের শব্দ হচ্ছে। ওপারের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে এপারের বাড়ির উঠান। এছাড়া সে দেশের আকাশে যুদ্ধবিমানও দেখা গেছে। জলসীমায় সে দেশের জাহাজ দেখা যাচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর কারণে সাত দিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে ওষুধ, খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্কটে পড়েছেন দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা। তবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলের বিকল্প রুট খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে খাবার ও পণ্যবাহী দু’টি জাহাজ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারমম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সারারাত মিয়ানমার থেকে আবারো মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না।