নওগাঁর ধামইরহাটে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার (১২ জুন) নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম জিহান আক্তার জেমি। তিনি ধামইরহাট উপজেলার ফার্শপাড়া গ্রামের ফেরদৌস হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত মোরসালিন পত্নীতলা উপজেলার লালাপুর গ্রামের আবু কালাম আজাদের ছেলে।
নিহত জেমির ফুফাতো ভাই জিল্লুর রহমান জানান, ২০২৩ সালের জুন মাসে মোরসালিনের সঙ্গে বিয়ে হয় জেমির। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। মঙ্গলবার সকালে জেমির বাবার বাড়িতে যাওয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর দুপুরের দিকে মোরসালিনের মোবাইল থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তি জেমির বাবাকে ফোন দিয়ে জানান, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পরে জেমির শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তারা জেমির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় রশির দাগ দেখতে পান। মোরসালিনের পরিবারের সদস্যরা জেমিকে হত্যা করে সেটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে জেমির স্বামী মোরসালিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এমনকি তার বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোজাফফর হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা ফেরদৌস হোসেন চারজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি দায়েরর পর থেকে জেমির শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা সবাই পলাতক। তবে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মোঃ খালেদ বিন ফিরোজ
নওগাঁ প্রতিনিধি