দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে সময় চেয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের কার্যালয়ে বেনজীরের পক্ষে তাঁর আইনজীবী ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন। দুদকের উপপরিচালক বরাবর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার জহুরুল হক আজ দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুনেছি, দুদকের অনুসন্ধান দলের কাছে বেনজীর ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন। আইন অনুযায়ী তাঁকে সময় দেওয়া হবে।’

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, দুদক কাউকে নোটিশ করলে তিনি আসতে বাধ্য কি না না, সেটা আইনে সুস্পষ্ট বলা নেই। না এলে ধরে নিতে হবে তার কোনো বক্তব্য নেই। তবে তাঁর সুযোগ আছে সময় চাওয়ার। সময় চাইলে দুদক ১৫ দিন সময় দিতে পারবে। এই এখতিয়ার কমিশনারের রয়েছে।
গত ২৮ মে বেনজীর ও তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো নোটিশে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ৩টি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসা করার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের ওই আদেশ আসার আগেই গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ছেড়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওই সূত্র জানিয়েছে।