পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রান না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ইউপি মহিলা সদস্য পরিবারের উপর দফায় দফায় হামলা চালায়। এই হামলায় ইউপি সদস্য খাদিজা বেগম এর ভাশুর আব্দুল রব গুরুত্বর আহত হয়। তাকে প্রথামে কাউখালী হাসপাতালে নিয়ে এলে অবস্থা গুরুতর দেখে ডাক্তার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত কাল রবিবার (২জুন) সকাল ১০ ঘটিকায় হাসাপাতালে তিনি মারা যান। ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত আরো ৮ জন কাউখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ।
এরা হলেন উপজেলা নিলতী গ্রামের মোঃ মকবুল হাওলাদারের ছেলে মজিবর হাওলাদার, একই পরিবারের সেলিম হাওলাদার, আলম হাওলাদার, একই গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ছেলে আসিক হাওলাদার, মজিবর হাওলাদারের ছেলে লিমন হাওলাদার। অপরপক্ষের নিলতী গ্রামের আব্দুল হাই সরদার সোলায়মান সরদার, সুভাষ ঘোষ এর ছেলে সঞ্জিব ঘোষ এবং সঞ্জয় ঘোষ আহত হন। মামলার এজাহার ও এলাকাবাসির সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যার পর নিলতী গ্রামের সঞ্জয় ঘোষ ও তার লোকজন নিয়ে একই গ্রামের সংরক্ষিত আসনের মাহিলা মেম্বার খাদিজা বেগম এর বাড়ীতে গিয়ে ত্রানের কার্ড না পাওয়ার কারণ জানতে চায়। এ সময় মেম্বার খাদিজা বেগম জানায় আমি ১০ কার্ড পেয়েছি। যা অতি দরিদ্রদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন এই ঘটনার আগে প্রতিপক্ষ সোলায়মান বন্যায় মরে যাওয়া কয়েক শত মুরগী খালের পানিতে ফেলে পানি দূষিত করায় আমি প্রতিবাদ করে ছিলাম। যে কারনে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে কার্ড না পাওয়ার অযুহাতে আমার পরিবারের উপর হামলা করেন।

কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হুমায়ুন করিব বলেন গত রাতে একটি ঘটনায় দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে। এই ঘটনায় আব্দুল রব (৫৫) মারা যায়। তৎক্ষিনক ভাবে সঞ্জিয় ঘোষ, দিলিপ পাটিকরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।