সর্বজনীন পেনশন বাতিলসহ ৩ দফা দাবীতে রবিবার মানববন্ধন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) শিক্ষকমন্ডলী। এ সময় দাবি মেনে নেয়ার জন্য আল্টিমেটাম ঘোষণা দেয়া হয়।
২০২৪ সালের ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত সর্বজনীন পেনশন বাতিলসহ ৩ দফা দাবীতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের আহ্বানে প্রায় দুইশতাধিক শিক্ষকমন্ডলী বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচে এ মানববন্ধন পালিন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিনগণ, প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল শিক্ষকবৃন্দ।
মানববন্ধনে ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু’র প্রথম স্বপ্নই ছিল শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন মানুষের সাম্যতা তৈরি করতে। অথচ যারা আজ বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্নকে নস্যাৎ করতে চায় তাদের সে অপচেষ্টাকে সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি। প্রয়োজনে ইস্পাত কঠিন সংকল্প নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। অন্যদিকে ২০১৫ সালে শিক্ষকদের প্রতি সরকারের প্রদেয় অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে বশেমুরকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ অহিদুজ্জামান অনতিবিলম্বে এ নতুন প্রজ্ঞাপন বাতিল চান। প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ সুপার গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলের দাবিও জানান তিনি। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৮ মে দুই ঘন্টা কর্মবিরতি এবং ৪ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালনসহ পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় শিক্ষক ফেডারেশনের নির্দেশমতো যেকোন কঠিন আন্দোলনে যাবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বিভিন্ন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ১ জুলাই এর পর যারা স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার চাকরিতে নতুন যোগ দেবেন তারা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরোত্তর পেনশন সুবিধা পাবেন না বরং তারা সর্বজনীন প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন যা অযৌক্তিক ও বৈষম্যপূর্ণ বলে মনে করছেন শিক্ষকবৃন্দ।