ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের বড় ভাই কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিমকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন আনারকন্যা ডরিন।
তিনি বলেন, আমার বাবা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের নাম আসছে তাকে গ্রেফতার করতে হবে। তার বড় ভাই কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম। সেও আমার বাবা হত্যার বিষয়ে জানতে পারে। আমি তাকেও গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানাচ্ছি।
তার কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের হতে পারে। তার ভাই শাহিন অনেক আগে থেকেই এলাকার লোকজনদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তার পৌরসভা নির্বাচনের সময় তার পক্ষে কাজ করেছে। সে তার ভাই সম্পর্কে সবকিছুই জানে। আমার বাবাকে কেটে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয়েছে। আর শাহিনের ভাই পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিমকে কেন এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি? তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
শনিবার সকাল থেকে এমপি আনারের কালীগঞ্জের বাসার সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। এরপর দুপুরের দিকে বাসার ভিতর থেকে বের হয়ে এসে ডরিন কান্নাকাটি করতে থাকে। সে সময় তিনি বাবা হত্যা সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগরে সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। তিনি বলেন, এমপি আনার হত্যার বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবাযদুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক দেখভাল করছেন। তারা আমাদের বলেছেন ইন্ডিয়া থেকে একটা তথ্য এলেই বা এমপির দেহাংশের কোনো অংশ পেলে সেইটা টেস্ট করার পর মুসলমান হিসেবে তার জানাজা, দাফন কাফন করা হবে। এরপর আমরা দলীয়ভাবে কর্মসূচি দেব। এখন স্থানীয় আওয়ামী লীগ বা তার পরিবার যে কর্মসূচি দিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগ তার সঙ্গে আছে। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তখনই কর্মসূচি দেব, যখন কেন্দ্র আমাদের বলবে।
তিনি বলেন, আমারা বিশ্বাস করি যে হত্যাকারীরা বা পরিকল্পনাকারীরা যত শক্তিশালী হোক না কেন আমাদের ডিবি সফলভাবে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে। তখনই সঠিক জিনিস বের হয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারা কারা জড়িত, নেপথ্যে কারা, প্রকাশে কারা, কারা মদতদাতা, কারা যোগানদাতা সবই বের হবে।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ মে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি আবাসিক ভবনে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।
এ ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশে ৬ জন গ্রেফতার হলেও মুল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাস্ট্রে পলাতক রয়েছে।