পিরোজপুর প্রতিনিধি:- পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার উত্তর নিলতী সমতট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তহবিল তসরুপ বিধিবহির্ভূত ব্যয় নির্বাহ ও বিদ্যালয় পরিচালনার ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই স্কুলের সাতজন শিক্ষক ও কর্মচারীদের টাইম স্কেল দেওয়ার নামে টাকা দাবি করাসহ , শিক্ষকদের চাপ দিয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের উপর স্বাক্ষর নিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ১৯-০৫-২০২৪ ইং প্রধান শিক্ষক মিজানুর হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্তের কথা নিশ্চিত করেছেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিডি: জেনা: (অব) এ.কে.এম. ফরিদুজ্জামান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ,১২-২-২৪ ইং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ গুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনার জন্য তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে তদন্ত কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম প্রমাণিত হয়। সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ,স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার : জেনারেল :(অব:) এ.কে.এম ফরিদুজ্জামান এই প্রতিবেদককে জানান,যে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় তহবিল তশরুফবিধি বহির্ভূত বিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি ও অভিভাবকসহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর অনুলিপি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর এক তদন্ত প্রতিবেদনে প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান হাওলাদারের টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাইয়াছেন এবং পরে তাকে মাউশি থেকে শোকজ নোটিশ পাঠান। এর আগে কত ২৫-৩-২০২৪ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভায় অর্থ আত্মসাত তহবিল তশরূফ বিধি বহির্ভূত বিদ্যালয়ের পরিচালনা অনিয়ম-দুর্নীতির এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানো নোটিশও দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি প্রথম শোকজের জবাব দিয়েছেন। শোকাজ এর জবাব সন্তুষ্ট না হওয়ায় পুনরায় পরাপর ২টি কারণ দর্শনের নোটিশ প্রদান করেন তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশের কোন প্রকার জবাব দেন নাই।নোটিশের জবাব না দেওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি দুখ: প্রকাশ করেন।
কিন্ত ২০২৩ সালে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান হাওলাদার বিধি বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের আয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে পকেটে টাকা রেখে নিজ হাতে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে খরচ করেছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষককে বারবার ফোন দেওয়া হলে, ফোন ধরেন সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি লাইন কেটে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।