ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে দুই দেশের (বাংলাদেশ ও ভারত) সমন্বয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের নৌপথে নিহত সব শহীদ স্মরণে ২৩ মে ‘জাতীয় নদী দিবস’ ঘোষণার দাবিতে ‘ঢাকা নদী সম্মেলন’ ২০২৪’ প্রস্তুতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মিশন পুরো বিষয়টি কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। যেহেতু তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ নিয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি দুঃখজনক।
তিনি বলেন, মেয়াদহীন নৌপরিবহন এবং অতি মুনাফালোভী মালিকদের অতিরিক্ত যাত্রী বহনই নৌ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। বালু খেকো নদী খেকোসহ যারা নদীতে ক্যমিক্যাল দেয় তারা দেশের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, নদী রক্ষা এবং সুষম পানি বণ্টনে যেভাবে সমন্বয় দরকার ছিল, চেষ্টা হওয়া দরকার ছিল, আঞ্চলিক উদ্যোগ দরকার ছিল, সেভাবে হয়নি। সবার জন্য সুষমভাবে পানি বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা দাঁড় করানো গেলে সবার উপকার হবে। একটি আঞ্চলিক সহযোগিতার ফোরাম খুব প্রয়োজন।
মন্ত্রী এ সময় নৌ-দুর্ঘটনার জন্য চালকদের অদক্ষতা এবং মালিকদের অতি মুনাফার স্পৃহা নৌ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে বলেন, নদী খেকোদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। যারা নদীতে রঙিন পানি ফেলে তারা সমাজের শত্রু। তাদেরও প্রতিরোধ করা দরকার।
হাসান মাহমুদ আরও বলেন, বিত্তের ক্ষমতা অনেক সময় পদের ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। বিত্তবান আবার নিজেদের সুবিধার জন্য মিডিয়া লালন করে। ক্ষমতাবানরা নদী দখল করে। বুড়িগঙ্গা নদীর দুপাশে পাড় বাঁধাই করা হয়েছে, ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তবুও বুড়িগঙ্গা দখল হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২২ মে) কলকাতার নিউ টাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্য করা হয়েছে। তবে সেখানে তার মরদেহ মেলেনি।