রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ পারমাণবিক শিল্পের উন্নয়ন লক্ষ্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন জানান যে, ২০৪৫ সাল নাগাদ দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ২৫ শতাংশ আসবে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলো থেকে। তিনি সম্প্রতি রাশিয়ার লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের অধীনে নতুন একটি ইউনিট (ইউনিট ৭) এর প্রথম কংক্রীট ঢালাই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখছিলেন। রসাটম দৈনি বার্তাকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন।
ভøাদিমির পুতিন আরও বলেন, “নতুন এই দক্ষ বিদ্যুৎ ইউনিটটির নির্মান আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এর মাধ্যমে পুরো উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের এনার্জী নিরাপত্তার উন্নয়ন ঘটবে এবং ভবিষ্যৎ বছর গুলোতে আমরা আরও বেশি পরিবেশ বান্ধব ও পরিচ্ছন্ন বিদ্যুতের যোগান পাবো”।
একই অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে রাশিয়ায় বর্তমানে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাস্তবায়ন সম্পর্কে রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ জানান, “আমরা বর্তমানে কুরস্ক এনপিপিতে দুটি ইউনিট নির্মান করছি, যেগুলোর কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। আমরা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের নতুন নতুন সাইট নির্বাচন করছি। উরাল অঞ্চলে পারমাণবিক বিদ্যুতের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমানে বৃদ্ধির সাথে সাথে সাইবেরিয়া অঞ্চলেও এর বিস্তার ঘটানোর উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ বানী অনুযায়ী এই অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পাবে”।
লেনিনগ্রাদ এনপিপি’র নতুন ইউনিটটির রিয়্যাক্টর ভবনের ভিত্তি চলতি গ্রীষ্মেই প্রস্তুত হয়ে যাবে। এর পরেই শুরু হবে রিয়্যাক্টর ভবনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কন্টেইনমেন্টসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ এবং বিভিন্ন ইকুইপমেন্টের স্থাপন প্রক্রিয়া। নতুন এই ইউনিটে স্থাপিত হবে সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উভয় ইউনিটে একই ধরণের রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে।