আত্মসমর্পণের পর স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সুপ্রিম বার সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত মারামারির সময়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেন তিনি।

রবিবার (১২ মে) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন নাহিদ সুলতানা যুথী। এদিন বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত শুনানি শেষে তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। যুথীর পক্ষের আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২০ মার্চ বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। প্রসঙ্গত, নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদী হয়ে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন— অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এছাড়াও মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার এক নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে অন্য আসামিরা সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নিচ তলার শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনের দরজা খুলে অস্ত্র হাতে জোর করে প্রবেশ করেন। এসময় তারা অকথ্য ভাষায় বাদীসহ নির্বাচন সাব-কমিটির সদস্যদের গালিগালাজ করে। আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করলে বাধা দিতে গিয়ে তিনি আহত হন। আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে মারপিট ও পা দিয়ে বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।