ইরান আজই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে বলে দুই মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে। তবে মিডিয়া আউটলেটটি মার্কিন কর্মকর্তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
বিসিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় শতাধিক ড্রোন, কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে। ইসরাইলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন টার্গেটে এসব হামলা হবে বলে কর্মকর্তা দুজন জানিয়েছেন। তারা আরো জানিয়েছেন, তেহরান হয়তো নাটকীয় উত্তেজনা না ছড়ানোর চেষ্টায় অপেক্ষাকৃত কম আকারের হামলা চালাবে।
ইরানি হামলার আশঙ্কায় ইসরাইল বেশ সতর্ক রয়েছে।
২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইলে ইরানের হামলা!
এছাড়া আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরান থেকে সরাসরি ইসরাইলে হামলা চালানো হবে বলে এক মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলাটি ‘খুব সম্ভবত ইসরাইলের মাটিতে’ হবে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানায়, উত্তর বা দক্ষিণ ইসরাইলে সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল। তবে এতে ইরান সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, তেহরান এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় ইরানের এক শীর্ষ কমান্ডারসহ সাত কর্মকর্তা নিহত হয়। ইরান এই হামলার প্রতিশোধ গ্রহণ করার সংকল্প ব্যক্ত করেছে।
ইসরাইল এই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগেরি বলেন, এটি ছিল দামেস্কে বেসামরিক ভবনের ছদ্মাবরণে কুদস বাহিনীর সামরিক ভবন।
কুদস বাহিনী হলো ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড কোরের সশস্ত্র শাখা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে আরো বলা হয়, মার্কিন সরকার ইসরাইলে অবস্থিত তাদের কর্মী এবং তাদের পরিবার সদস্যদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মধ্য ইসরাইল, জেরুসালেম এবং বীরসেবার বাইরের এলাকায় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
ইসরাইলি মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ইসরাইলে যেসব স্থাপনাকে ইরান টার্গেট করতে পারে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দিমোনার পরমাণু স্থাপনা, হাইফার বিমানবন্দর।