বেশ কিছু দিন ধরে চলছে ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও পরীমণির বাগবিতণ্ডা। দুই নায়িকাই একে অন্যেকে উদ্দেশ্য করে পরোক্ষভাবে নানা মন্তব্য করই চলেছে। সবশেষ বুবলীল সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে আরও স্পষ্ট হয় দু’জনের কোন্দল। যেখানে একজন অন্যজনকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু করেন।
এরই রেশ ধরে সম্প্রতি কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে ‘বেয়াদব’ বলে মন্তব্য করেন পরীমণি। নায়িকা বলেন, সবসময় এমন হয়েই থাকতে চান তিনি। বদলাতে চান না ‘বেয়াদবী’ তকমা।
পরীমণির এমন বক্তব্যের পরই একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন বুবলী। যেখানে পরীর নাম না নিলেও পরোক্ষভাবে নায়িকার ওই বক্তব্যের সমালোচনায় মেতে ওঠেন তিনি।
সাক্ষাৎকারের একটি অংশে বুবলী বলেন, ‘শিল্পীদের মধ্যে কেউ যদি আমার আবেগের জায়গাকে অন্যভাবে আনেন, সেটি আমার জন্য কষ্টের। কেউ যদি কারোর সঙ্গে অসভ্যতা করেন, কাউকে কষ্ট দেন, সেটি যদি তার কাছে মনে হয় সে স্পষ্টবাদী, তাহলে তো একসময় বড়দেরও অসম্মান করবেন। বড়দেরও হুটহাট কিছু বলে ফেলবেন। এটা বেয়াদবিই।’
বুবলীর ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশ হওয়ার পরেই শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে ফেসবুকে আবারও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমণি। যেখানে তিনি লিখেছেন- আপনার বড় বোনকে আগে সভ্য হতে বলেন আপা। গালিগালাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টাটাস দেয় কেন বিদেশ বসে? সামনে আসতে বলেন। আগে নিজে এবং নিজের পরিবারের সভ্যতা নিশ্চিত করেন। দল পাকায়েন না এতো।
পরী আরও লেখেন, আমি তাও তো আপনাকে আপা বলে কথা বলি। আপনি বলি। কারণ আমি সভ্য, তাই। আপনার বোন আর আপনার মতো তুই-তোকারি গালিগালাজ তো করি নাই। সামনে পরলে এবার থাপড়ায়ে দিবনে তাইলে। বেয়াদবি না করেই এত কথা আপনার আমাকে নিয়ে? এবার এটা করলে কি যায় আসে আর।
স্ট্যাটাসে পরীমণি কারও নাম না প্রকাশ করলেও ভক্তদের বুঝতে সমস্যা হয়নি নায়িকার তীরের নিশানায় কে ছিলেন। বুবলীর বড় বোন সংগীতশিল্পী নাজনীন মিমিকেই ইঙ্গিত করেই কথাগুলো বলেছেন পরী। কারণ গেল ফেব্রুয়ারিতেই ফেসবুকে লাইভে এসে শাকিব খানের প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে ‘টোকাই’সহ অসংখ্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি।
এছাড়া বিভিন্ন সময় বোন বুবলীর পাশে দাঁড়িয়ে তার সমালোচকদের কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মিমি। যে কারণেই হয়তো এবার পরীর নিশানায় ছিলেন তিনি।