ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের কষ্ট লাঘব করে ঈদের খুশি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে পবিত্র রমজান মাসে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। পবিত্র রমজান শেষে প্রিয়জনের সাথে ঈদ পালন করতে চাওয়া মানুষ প্রস্তুতি নিচ্ছে ঈদ যাত্রার। প্রতি বছর এই ব্যস্ত সময়ে অনেকের জন্যই ঈদযাত্রা পরিণত হয় এক দুঃসহ ভোগান্তিতে। পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সহানুভূতির নিদর্শন হিসেবে যাত্রীদের ঈদযাত্রাকে স্বস্তিদায়ক করতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলালিংক। ঈদযাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের সুবিধার্তে বাংলালিংক ইতোমধ্যে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবার মান বৃদ্ধি করেছে। বর্ধিত এই নেটওয়ার্ক দেশের প্রতিটি প্রান্তে সবার জন্য দ্রুততম ফোর-জি সেবা নিশ্চিত করবে। অপারেটরটি আশা করছে, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে তাদের নেওয়া এই উদ্যোগগুলো সাধারণ মানুষের প্রিয়জনের কাছে ফেরাকে আরও সহজ ও আনন্দদায়ক করে তুলবে। বিনামূল্যের বাস সার্ভিস: ঈদে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের বাড়ি ফিরতে সহায়তা হিসেবে বাংলালিংক ঢাকা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে ফ্রি বাস সার্ভিস দিতে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে যারা ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সাথে ভাগ করে নিতে পারেন না এই সেবাটি তাদের ঈদের খুশিকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে এবং সবাই যেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে অবদান রাখবে। এছাড়াও ঢাকার প্রধান বাস টার্মিনাল- গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ, প্রধান রেলওয়ে স্টেশন- কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আরও একগুচ্ছ সেবা নিয়ে বাংলালিংক-এর স্বেচ্ছাসেবী দল উপস্থিত থাকবে।
এরমধ্যে ঊল্লেখযোগ্য সেবাগুলি হলো –
লাগেজ হ্যান্ডেলিং সুবিধা: যাত্রাপথে আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে বাংলালিংক-এর বিশেষায়িত দল যাত্রীদের লাগেজ ও ট্রলিব্যাগ বহনে সহায়তা করবে।
হাত পাখার ব্যবস্থা: চৈত্রের তীব্র তাপদাহে স্বস্তি এনে দিতে বাংলালিংক ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঈদযাত্রীদের হাতপাখা বিতরণ করবে।
নামাজের যায়গা ও ম্যাট সুবিধা: পবিত্র রমজান মাসে যাত্রাকালীন সময়ে যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে ইবাদত পালন করতে পারেন সেই লক্ষ্যে বাংলালিংক সকল স্থল, রেল ও নৌ স্টেশনগুলোতে নামাজের স্থান ও নামাজ পড়ার জন্য ম্যাটের ব্যবস্থা করবে।
এমনকি দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক যেমন, ঢাকা- চট্টগ্রাম, ঢাকা- সিলেট, ঢাকা- রংপুর ও ঢাকা- যশোর মহাসড়কের যাত্রা বিরতিস্থলসহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের মোট ২০ টি স্থানে রোজার শেষ ৭ দিন যাত্রীদের সহায়তায় বাংলালিংক-এর স্বেচ্ছাসেবী দল সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থাকবে।
এ বিষয়ে বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “বাংলালিংক-এ আমরা সহানুভূতি ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই, বিশেষ করে যখন সারা দেশের মানুষ উৎসবে একত্রিত হয়। ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষদের স্বস্তি দেয়ার লক্ষ্যে নানান রকমের কর্মযজ্ঞ গ্রহণ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত। আমাদের এই কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে আমরা এইসব মানুষদের ঈদযাত্রার কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতায় একটি পরিবর্তন আনতে চাই, যাতে তারা নিরাপদে ও সহজেই তাদের প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারেন।”