মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট মওকুফের সময়সীমা আগামী ৩০ জুন উঠে যাচ্ছে। এরপর রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চায় না নতুন মওকুফের সময় বাড়ানো হোক। কিন্তু মওকুফের সময় বাড়াতে চায় ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

বর্তমান ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ আছে সব ধরনের করছাড় থেকে সরে আসার। মেট্রোরেল পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। একই সময়ে রাজধানীবাসীর কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় গণপরিহন হিসাবে সমাদৃত। আর রাজস্ব বাড়াতে সরকারের চাপ রয়েছে। এ জন্য এনবিআর চাইছে টিকিটের ওপর কর মওকুফের সময় নতুন করে না বাড়ুক।

রাজস্ব বোর্ডের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাট আরোপ নিয়ে এনবিআর ও মেট্রোরেল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।

জানা গেছে, মেট্রোরেলে টিকিটের ওপর ভ্যাট না বসানোর যুক্তি দেখিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠিও দেয় মেট্রোরেলে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব ও পরিচালক আবদুর রউফ গণমাধ্যমকে বলেন, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেল টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের আইন আছে। কিন্তু ওই সব ট্রেনে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শ্রেণি ছাড়াও সাধারণ শ্রেণি আছে। টিকিটধারী যাত্রীদের ‘শ্রেণি’ পছন্দ করার সুযোগ আছে। কিন্তু মেট্রোরেলে পুরোটাই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। সেখানে সব যাত্রীকে একই টিকিট কাটতে হয়। এছাড়া মেট্রোরেল এখন পুরোপুরি গণপরিবহন, যেখানে সাধারণ মানুষ ভ্রমণ করে।

এনবিআর এর দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসবে কি না, তা ঈদুল ফিতরের পর ফয়সালা হবে।