অতীতে রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্সটিটিউটে যেসকল বিদেশী শিক্ষার্থীরা নিউক্লিয়ার এবং এতদ্বসংক্রান্ত প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষালাভ করেছে তাদের অংশগ্রহণে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটম সম্প্রতি একটি মতবিনিময় সেশনের আয়োজন করে। সদ্যসমাপ্ত আন্তর্জাতিক ফোরাম এটমএক্সপো চলাকালে আয়োজিত এই সেশনটির বিষয় ছিল ‘গ্রীন প্রযুক্তি এবং তরুণ প্রজন্ম’ এবং এটির আয়জনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে ‘কনসোর্টিয়াম অফ সাপোর্টিং ইউনিভার্সিটিজ অফ দা রসাটম স্টেট কর্পোরেশন’। রসাটম দৈনিক বার্তা‘কে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনাম পরমাণু শক্তি ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট ডঃ ট্রান চি থান, রসাটমের মানবসম্পদ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক তাতিয়ানা তেরেন্তিয়েভা, রুসাটম আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের উপ-মহাপরিচালক ইগোর কিভিয়াতকভস্কি, রুয়ান্ডা পরমাণু শক্তি বোর্ডের মানবসম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক রুহিন্দা আলেক্সিস প্রমুখ।
তাতিয়ানা তেরেন্তিয়েভা তার স্বাগত বক্তব্যে জানান যে, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং বিশ্ব বাজারে নেতৃস্থানীয় অবস্থানের কারণে রাশিয়া তার পার্টনারদের শুধুমাত্র উচ্চমানের প্রযুক্তি সরবরাহের সাথে সাথে শিক্ষা সুবিধাও প্রদানে সক্ষম। পার্টনার দেশগুলোতে নির্মানাধীন রসাটম প্রকল্পগুলোতে স্টাফদের প্রশিক্ষণ প্রদান ছাড়াও রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিউক্লিয়ার ও এতদ্বসংক্রান্ত প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করে। রসাটমের মাধ্যমে বর্তমানে ৬৫ দেশের দুই হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করছে।
তাতিয়ানা বলেন, “বিদেশী গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে রসাটম। আমরা মনে করি, আমাদের পার্টনার দেশগুলোর জাতীয় পারমাণবিক কর্মসূচী বাস্তবায়নে এসকল গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অপরিসীম”।
ইগোর কিভিয়াতকভস্কি তার বক্তব্যে বলেন, “এলামনাই কম্যুনিটির বিকাশ ভবিষ্যতের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কম্যুনিটি তৈরির ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। এই কম্যুনিটি রসাটমের আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে যেমন যুক্ত, তেমনি তারা নিজেদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ গড়তে আগ্রহী”।
রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন প্রাপ্ত এবং বর্তমানে বাংলাদেশ, মিশর, বলিভিয়া, ঘানা, কঙ্গো, উজবেকিস্তান সহ অন্যান্য দেশের নিউক্লিয়ার শিল্পকে প্রতিনিধিত্বকারীরা সেশনে উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজ দেশের এনার্জী মিক্সে কার্বন মুক্ত এনার্জীর উৎসের অবদান, গ্রীন প্রযুক্তি বিকাশের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্বের ব্যাপারে তারা ছিলেন একমত।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘কনসোর্টিয়াম অফ সাপোর্টিং ইউনিভার্সিটিজ অফ দা রসাটম স্টেট কর্পোরেশন’। কনসোর্টিয়ামের লক্ষ্য হলো, পরমাণু শিল্পের স্বার্থে উচ্চতর, পোস্ট গ্র্যাজুয়েটসহ অন্যান্য শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধন। রসাটমের উদ্যোগে গঠিত এই কনসোর্টিয়ামের অন্তর্ভূক্ত রয়েছে রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ২০টি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়।