মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুককে সঙ্গে নিয়ে কেক কেটেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৬মার্চ) বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কেক কাটা হয়।

এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সহধর্মিণী, ভুটানের রাজার সহধর্মিণী, বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল) উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও জাতীয় সংসদ সদস্যদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এর আগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি প্রথমে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ওয়াংচুকও শ্রদ্ধা জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে তার দলীয় নেতাদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়েও স্বাক্ষর করেন।

এর আগে সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ভুটানের রাজা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর।

সফরের শুরুর দিন রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।