উত্তরাঞ্চলের শষ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত নওগাঁর মহাদেবপুরে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। চারিদিকের মাঠ এখন বোরো ধানের সবুজ চাদরে ঢাকা। মাঠে মাঠে চলছে বোরো খেত পরিচর্যার কাজ। রোপা আমনের বাম্পার ফলনের পর কৃষকরা এখন বোরো বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ উপজেলায় এবার বোরোর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সেচ নির্ভর এ ফসলের সেচ কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য উপজেলা সেচ কমিটি এবার মৌসুমের শুরুতেই সেচ চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে সেচ চার্জ নিয়ে গভীর ও অগভীর নলকূপ অপারেটরদের কৃষকদের যে মনোমালিন্য হতো সেটি দূর হয়েছে। উপজেলা সেচ কমিটি এবার প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দেয়ার জন্য গভীর নলকূপের সেচ চার্জ ১২ শ ৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। অন্যান্য বছর নলকূপ অপারেটররা স্থান ভেদে কৃষকদের কাছ থেকে ১৮ শ থেকে ২২ শ টাকা সেচ চার্জ আদায় করতো। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে এ উপজেলায় এবার ২৮ হাজার ২ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে ২৮ হাজার ৩ শ ২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। যা এ উপজেলার জন্য একটি নতুন রেকর্ড। কৃষকদের মাঝে বোরো চাষের জন্য প্রণোদনা দেয়ায় এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানে রোগবালাইয়ের আক্রমন অনেকাংশে কম। তার পরেও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কৃষকদের সেবায় মাঠে তৎপর রয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে বোরোর বাম্পার ফলন হবে বলেও তিনি আশা করেন।
আজাদুল ইসলাম, মহাদেবপুর, নওগাঁ,