সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছে একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্স। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে ইইউ নেভাল ফোর্সে এক্স দেয়া একটি পোস্টে এমনটি জানায়।
ইইউ নেভাল ফোর্সের এক্সে একটি ভিডিও চিত্র এবং তিনটি স্থিরচিত্র প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজের কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি হেলিকপ্টার জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়।
একটি ছবিতে দেখা যায়, ইইউ নেভাল ফোর্সের দুজন সদস্য যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দিকে তাকিয়ে আছেন। ইইউ নেভাল ফোর্স যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করলেও কোনো অভিযানের বিষয়ে জানায়নি। এর আগে ইইউ নেভাল ফোর্স জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারে অভিযানের কথা জানালেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেয়া হয়নি। মূলত নাবিকদের নিরাপদ ফেরাতে কোনো সামরিক অভিযানে সম্মতি দিচ্ছে না মালিকপক্ষ।
ইইউ নেভাল ফোর্সের বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জলদস্যুতার ঝুঁকি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ নভেম্বর থেকে এদিন পর্যন্ত ২৫টি নৌযানে ছিনতাই ও ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে দস্যুরা। এর মধ্যে বেশির ভাগই ছোট নৌযান। বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে তিনটি। তবে সর্বশেষ শুধু বাংলাদেশি জাহাজটিই এখন সোমালিয়ার দস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশি ওই জাহাজে থাকা দস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করেছে। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, তারা নাবিকদের ছাড়িয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এস আর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।