যৌন হয়রানি ও পরীক্ষায় ফেল করানোর বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যানের কারণে ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নিচতলায় সাংবাদিকদের কাছে মিম এ অভিযোগ করেন। এ সময় মিমের সঙ্গে ছিলেন তার বাবা।
মিম বলেন, ‘তিনি (বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিম) যেভাবে ডিবিতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, সেটা অনুচিত। চেয়ারম্যানের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে আমার ন্যায়বিচার। যেখানে তিনি বিভাগের চেয়ারম্যান, আমার অভিভাবক। তাকে আমার পাশে থাকার কথা, তিনি উল্টো আমার বিরুদ্ধে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
মিম বলেন, এ ক্যাম্পাস আমার নিজের ঘরের মতো। কিন্তু এখানেই আমি নিরাপদ নই। আমি ক্যাম্পাসে আসা অনেক কমিয়ে দিয়েছি। আপনারা দেখেছেন চেয়ারম্যান কিভাবে অভিযুক্ত শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে চলাফেরা করছেন। গতকাল (বুধবার) ডিবিপ্রধান (গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ) আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, আমাকে কেউ আর হুমকি দেবে না। যদি কেউ আমাকে কোনোভাবে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে, তাহলে আমি যেন তাদেরকে জানাই।
জবির এই শিক্ষার্থী বলেন, ডিবিপ্রধানের কথায় আশ্বস্ত হয়ে আজ আমি ক্যাম্পাসে এসেছি। হুমকি-ধমকিও পাচ্ছি না। তবে আমি আমার অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আর এখন থেকে আমিও অবন্তিকার বিচার চেয়ে আন্দোলনের সঙ্গে থাকব।
সহকারী প্রক্টর ও নিজের সহপাঠীকে দায়ী করে জবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যা নিয়ে তুমুল আলোচনার মধেই কোর্স শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন মিম। অন্যদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিচার দাবিতে জবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গত মঙ্গলবার শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের অভিযোগের বিচার চেয়ে এবার রাষ্ট্রপতি ও আচার্য বরাবর আবেদন করেছেন মিম। আবেদন গ্রহণের অনুলিপিটি যুগান্তরের হাতে এসেছে।আবেদনে তিনি বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ প্রশাসনের জবাবদিহির জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।