কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধাসহ নানা অভিযোগ করেছেন ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর হোচ্ছামিয়া স্কুল কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ অভিযোগ করেন।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘নগরীর কুমিল্লা হাইস্কুল কেন্দ্রে আমার এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমার নির্বাচনী প্রধান এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তার গাড়িতে লাথি মারা হয়েছে। ২৭ ওয়ার্ডের অধিকাংশ জায়গাতেই একই চিত্র।’
জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কুসিকের সাবেক মেয়র বলেন, ‘জয়ের কথা তো পরে, আগে মানুষ ভোট দিতে আইবে। মানুষ যদি ভোট দিতে না পারে তো লাভ কী? মিনিমাম তো ৩০ শতাংশ ভোট পড়তে হবে। পথে পথে ভোটারদের যেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এত ভোট নাও পড়তে পারে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট।’
এর আগে আজ সকাল ৮টায় মহানগর এলাকায় মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট চলবে। সিটির এই নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি ভোট কক্ষ রয়েছে। ৯৬০টি ইভিএমের মাধ্যমে এ ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এ উপনির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৮ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন।
কুসিক উপনির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন চারজন প্রার্থী। এর মধ্যে ঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ঘোড়া প্রতীকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন কায়সার, বাস প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার ও হাতি প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম।