রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধান এবং ঢাকার আবাসিক ও বাণিজ্য ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।আজ সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ফায়ার সার্ভিস ও বুয়েট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর সামনে দৃশ্যমান করে নোটিশ টাঙ্গাতে ফায়ার সার্ভিসকে নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আগামী চার মাসের মধ্যে জানতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর বেইলি রোডে সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধ ও ঘটনা অনুসন্ধানে বিচারিক কমিটি চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালত ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, ‘যেভাবে একের পর এক রুফটপ রেস্টুরেন্ট হচ্ছে তাতে আমরা অবাক হচ্ছি। এসব রেস্টুরেন্ট একটা ফ্যান লাগিয়ে চালু করে দিচ্ছি। কি একটা অবস্থা চলছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে মারা যান ৪৬ জন। এদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাকি দুই মরদেহের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।