অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ফ্ল্যাট ক্রয় ও আয়কর ফাঁকি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক যুবলীগ নেতা মো. ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে আরো একটি অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পুরনো অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়ে নতুন কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়ায় কমিশন থেকে পৃথক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখাকে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শাখা কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠির সূত্রে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, দুদকের মামলার তদন্তে জব্দকৃত রেকর্ডপত্র, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আসামির বক্তব্য পর্যালোচনায় সম্রাটের অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সহোদর দুই ভাইয়ের নামে কাকরাইলে ৪ হাজার ২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয়ের তথ্য মিলেছে। এছাড়াও আয়কর নথির মাধ্যমে উৎসবিহীন ব্যবসার মূলধন প্রদর্শনসহ মোট ৩ কোটি ৪০ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ টাকার সম্পদের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। এসব বিষয়সহ আরও কিছু অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে।
উল্লেখ্য, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে প্রায় ২২৩ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিচারকার্য চলমান রয়েছে বলেও জানা গেছে।
অন্যদিকে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারের মামলাও রয়েছে। এসব মামলায় তিনি আড়াই বছরের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। ২০২২ সালের আগস্টে এসব মামলায় জামিনে মুক্তি পান সম্রাট।