বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিট (বিআরটিএ) পাবনা অফিস বর্তমানে দালাল চক্রের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দালাল ছাড়া বিন্দ্রমাত্র কাজ হয় না এই অফিসে। রাজনৈতিক ছাত্রছায়ায় শক্তিশালী একটি নেটওয়ার্ক চক্র গড়ে উঠেছে বিআরটিএ অফিসে।
নুতন ড্রাইভিং লাইসেন্স, নবায়ন, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট, ফিটনেসসহ সংশ্লিষ্ট কাজ করিয়ে দেওয়ার নামে কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে যোগসাজশ করে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই দালালচক্রটি। বিআরটিএ অফিস সংশ্লিষ্টরা সেবা গ্রহীতাদের কোন প্রকার সহযোগীতা বা কাজ না করে দেওয়ার জন্য সেবা গ্রহীতারা দালালদের শরণাপ্ন হতে বাধ্য হচ্ছে।
এখানে দালাল ধরলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষাও দিতে হয় না। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ার বিধান থাকলেও উৎকোচের বিনিময়ে লার্নার (শিক্ষানবিশ) কার্ডধারীদের নিয়মিতই রেজিস্ট্রেশন দিয়ে যাচ্ছেন দালাল চক্রের সদস্যরা। ফটোকপির দোকানে ২০০ টাকার বিনিময়ে ডাক্তারি পরীক্ষার সার্টিফিকেট পাওয়া যাচ্ছে। আবার কিছু নির্দিষ্ট ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে যোগসাজশ করে সেখানে সেবাগ্রহীতাদের পাঠানো হয়। বেশি টাকা দিলে দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষার সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। গত এক সপ্তাহ পাবনা বিআরটিএর অফিস ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিআরটিএ অফিসের হেল্প ডেস্কের আশপাশে ২০ থেকে ২৫ জন দালাল দাঁড়িয়ে আছেন। এছাড়াও ডিসি অফিস সংলগ্ন ফটোকপির দোকানের আশপাশের বেশ কিছু দালাল বসে রয়েছেন। সেবাগ্রহীতারা ফাইল নিয়ে আসতেই হাতে থেকে নিয়ে নিচ্ছেন দালাল চক্রের সদস্যরা। নতুন কেউ এলে তাদেরকে ডেকে বিআরটিএ অফিসের গলির মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রথম দিনেই শিক্ষানবিশ (লার্নার) করার জন্য ফটোকপির দোকানে নিয়ে যান দালালরা। একজনের সঙ্গে কমপক্ষে তিন থেকে চারজন দালাল দরদাম করেন। চুক্তি হলে ডিসি অফিস লংলগ্ন কয়েকটি ফটোকপির দোকানে নিয়ে আবেদন করান। এসব দালালরা ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকায় অফিসের স্টাফদের চেয়ে এদের প্রভাব বেশি। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না। আবার মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কিছু লোক যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, নবায়ন ও ফিটনেস সনদ দিতে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।
সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, গাড়ির ফিটনেস লাইসেন্স এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে এলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ অফিসে দালাল না ধরলে কোনো কাজই হয় না, এটাই নিয়মনীতিতে পরিনত হয়েছে।সরকার নির্ধারিত ফ‘র চেয়ে লাইসেন্স প্রতি দুই গুণ, তিন গুণ টাকা বেশি দিতে হয়। দালাল ও অফিসের কর্মকর্তারা এসব অর্থ ভাগবাটোয়ারা করে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কেউ পাঁচ বছর আগে আবেদন করেও কার্ড পাচ্ছেন না। অনেকেই আছেন আট বছর আগে রিনিউ করতে দিয়েছেন, দালালদের টাকা না দেওয়ায় রিনিউ হচ্ছে না।
পাবনা বিআরটিএ অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে তিনটি করে বোর্ড বসে। সপ্তাহের বুধবারে বোর্ড বসার নির্ধারিত দিন। একেকটি বোর্ডের জন্য সর্বোচ্চ ২২০ জন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। এক একটি বোর্ডের আবেদনকৃত ২২০ জনের মধ্যে ১৫০ থেকে ১৫৫ জন করে মোট ৬০০ জন আবেদন করলে ৫০০ জনের মতো ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষায় পাস করলে অনলাইনে টাকা জমা নেওয়ার অপশন শুরু হয়। এ জেলায় কতটি বৈধ যানবাহন আর কতটি অবৈধ যানবাহন রয়েছে সেই তথ্য জানা যায়নি।
পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া এলাকার গাড়িচালক সাকিরুল ইসলাম (ছদ্মনাম) বলেন, ২০০৪ সালে হেভিওয়েট লাইসেন্স করি। এরপর ২০১৫ সালের দিকে লাইসেন্স কার্ডটি হারিয়ে যায়। এরপর পাবনা বিআরটিএ অফিসের রঞ্জু নামে এক দালালের মাধ্যমে কার্ডটি রিনিউ বাবদ ৮ হাজার টাকাসহ জমা দেই। এরপর আমার থেকে লাইসেন্সের পরিষ্কার একটি ফটোকপি ছিল। ওই কপি অফিসে জমা দেই। আর ওই দালাল অপরিষ্কার এক কপি আমাকে দেয়। এরপর আবারও আমার থেকে ৯ হাজার টাকা দাবি করলে দিতে না পারায় আট বছর ধরে আমি লাইসেন্স পাচ্ছি না। এর মাঝে অনেক বড় বড় জায়গা থেকে গাড়ি চালানোর চাকরির অফার আসলেও সেইসব চাকরি করতে পারিনি। এখন আমি মানবেতর জীবনযাপন করছি। সব শেষ করে দিয়েছে দালাল। এখন সিএনজি চালিয়ে কোনো মতো সংসার চালাচ্ছি। এই অফিসের বিপুল সংখ্যক দালাল বহু মানুষের সাথে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া লাইসেন্স করাসহ নানা ধরনের গ্রাহক হয়রানিও করছে তারা।
আটঘরিয়ার একদন্ত ইউনিয়নের মনছের আলীর ছেলে আব্দুল বারি। তিনি কীটনাশকের কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি দালালের মাধ্যমে ২০২০ সালে মোটরসাইকেলের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। ফিঙ্গার প্রিন্টও দেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখের দিকে এসে জানতে পারেন তার ফাইলই জমা হয়নি। নতুন করে আবার ফিঙ্গার দিতে আসছেন তিনি। ডাইভিং লাইসেন্স করতে এসে ভোগান্তির শেষ নেই।
আতাইকুলার শাখাড়িপাড়ার আব্দুল মতিন মোল্লার ছেলে সোহেল রানা বলেন, এই অফিসের রেন্টু দালালের মাধ্যমে পাঁচ বছর আগে হাল্কাযান এবং মোটরসাইকেলের জন্য লাইসেন্সের আবেদন করি। ওই দালাল এখন আর এই অফিসে নেই। এখন স্মার্ট কার্ড পেয়েছি। কিন্তু মোটরসাইকেল ও হাল্কাযানের লাইসেন্স একসঙ্গে আসার কথা থাকলেও মোটরসাইকেলেরটা বাদ পড়ছে। ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ করে কার্ড পেয়েছি, তবে ভুলভাল। তাহলে এর দায় কে নেবে?..। আজকে আমি সংশোধনের জন্য আসছি। ৮০০ টাকার কাজ। জুয়েল রানা নামে এক দালাল ৮ হাজার টাকা চাচ্ছে। এখন বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।
সদর উপজেলার গয়েশপুর এলাকার টিপু সুলতান বলেন, তিন বছর ধরে লাইসেন্সের জন্য ঘুরছি। আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু হবে। দালাল ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স করলে ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকা খরচ হয়। পরীক্ষায়ও অটো পাস করা যায়। তবে নিজে নিজে অনলাইনে আবেদন করা সুযোগও রয়েছে।
পরিচয় গোপন করে লিটন হোসেন নামে এক দালালের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ১৩ হাজার টাকা দিলে ৩ থেতে ৪ মাসের মধ্যেই আপনি লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। শুধু ফিঙ্গার দিতে হবে পরীক্ষাও দিতে হবে না। পেশাদার এবং অপেশাদার দুই ধরণের লাইসেন্স করতে একই খরচ। আমাদের কাছে দিলে দ্রুত পাবেন। ৬ হাজার টাকার রশিদ পাবেন। বাকি টাকা অফিসের বিভিন্ন জনকে দিতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাইলে জুয়েল রানা ও রনি নামে দুই দালাল এ প্রতিবেদককে বলেন, আপনি শুধু আইডি কার্ড আর ১৩ হাজার টাকা দেবেন। এখনই লার্নার (শিক্ষানবিশ) কার্ডের আবেদন হয়ে যাবে। পরীক্ষা কোনো কিছুই দেওয়া লাগবে না। ফোন দেব কার্ড নিয়ে যাবেন।
সাঁথিয়া থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা রবিউল নামে এক যুবক বলেন, ২০১৯ সালে অফিসের একজন দালালের মাধ্যমে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করি। এরপর ৫ বছর অতিবাহিত হলেও লাইসেন্স পাওয়াতো দূরের কথা এখন অফিসে এসে জানতে পারি অফিসে আবেদনই জমা পড়েনি। আজকে অফিসে নতুন করে আবেদন জমা দিয়ে গেলাম। দালালের মাধ্যমে কাজ করে আজকে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি।
পাবনা শহরের সাহাবউদ্দিন বলেন, বিআরটিএ থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য লার্নার (শিক্ষানবিশ) কার্ড পাই। কার্ড পাওয়ার তিন মাস পর স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেও আমাকে তা দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বিআরটিএ অফিসের এক টেবিলে গেলে বলে ওই টেবিলে যান, ওই টেবিলে গেলে বলে আরেক টেবিলে যান। এভাবে দুই বছর ধরে ঘুরছি। আমার কাছে টাকাও দাবি করা হচ্ছে। ঘুষ দিয়ে স্মার্ট কার্ড নিতে চাই না বলে বছরের পর বছর ঘুরতে হচ্ছে আমাকে।
সাঁথিয়ার ধোপাদহ ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া (ছদ্মনাম) বলেন, আমরা ১২/১৪ জন একসঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য একজন দালালের মাধ্যমে আবেদন করি। আমরা সবাই পরীক্ষা দিতে এসে সাদা কাগজে সই করে চলে আসছিলাম। ভাইভা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলাম তাও পাস করে দিয়েছিল। ওভাবেই দালালের সঙ্গে কথা হয়েছিল। আমরা প্রায় সবাই ভাইভাতে ফেল করলেও পাস করে দেওয়া হয়। পরে আমরা লাইসেন্স হাতে পেয়েছি।
সাথিয়ার মধু মাস্টার বলেন, মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার পর যখন জানতে পারি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে তখন বিআরটিএ অফিসে এসে একজন দালালের মাধ্যমে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করি। আমি চাকরিসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় পরীক্ষা না দিয়ে লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়টি মিটমাট করে নেই। এরপর একদিন অফিসে গিয়ে সাদা কাগজে শুধু সই দিয়ে চলে আসি। এরপর ভাইভাতে ফেল করলে বাদ করে দেওয়া হয়। কিন্তু দালানের জন্য লাইসেন্স পেয়েছি। লোকজন ধরে কাজ করলে লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন খুবই সহজে হয়ে যায়। কিন্তু নিজে করলে ভোগান্তির কোনো শেষ থাকে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা শহরের মোটরসাইকেলের এক শোরুম মালিক বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে এবং নবায়ন করতে গেলে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। ঘুষ দিলে নির্ধারিত দিনে উপস্থিত না থেকেও অনেকের লাইসেন্স নবায়ন হয়ে যাচ্ছে। ঘুষ দিলে বা দালালদের মাধ্যমে গেলে পরীক্ষা না দিলেও লাইসেন্স হয়ে যাচ্ছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) পাবনা শাখার সভাপতি আব্দুল মতিন খান বলেন, বিআরটিএ অফিসের দালালদের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দরকার। মানুষের হয়রানি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আলী খান বলেন, আগে তো হয়রানির শেষ ছিল না। এখন একটু ভালো হচ্ছে। ওখানে কিছু দালাল আছে ডাবল টাকা নেয় আর মানুষকে হয়রানি করে। ঠিকমতো কাজ করে দেয় না। কিছু মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন পাবনা বিআরটিএ অফিসে দালালির কাজ করে। এসব বহিরাগত লোকজনের জন্যই তো সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
বিআরটিএর পাবনা অফিসের মোটরযান পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, মানুষজন এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে শুধু একবারই পাবনা বিআরটিএ কার্যালয়ে আসে। বাড়িতে বসে বা দোকান থেকে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করে। অটোভাবে কোন দিন পরীক্ষা দিতে হবে তার মোবাইলের ম্যাসেজ চলে যায়।
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পাবনা অফিসে কোনো দালাল নেই। তবে দুই-একটি মাঝে মধ্যে সুপারিশ আসে, রক্ষা করতে হয়। এ ধরনের সুপারিশ ছাড়া কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।
বিআরটিএর পাবনা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, পাবনা অফিসে কোনো দালাল নেই। এখানে কোনো অনিয়ম হয় না। তবে পাবনায় কতটি বৈধ ও অবৈধ যানবাহন রয়েছে সেই তথ্য চাইলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের ব্যবহার কেমন হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি বলেন, আসলে আমরা যখন কোনো গাড়ি ধরি তখন তার থেকে গাড়ির কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাওয়া হয়। যখন কারও দেখি সে ৫ বছর আগে লার্নার করছে এরপর কোনো অগ্রগতি নেই তাকে আমারা সেভাবে মামলা বা জরিমানা করি। যদি কারও দেখি অল্প দিন আগে লার্নার করা তার কাগজপত্রের অগ্রগতি আছে তাকে আমরা সেভাবে কনসিডার করি।
বিআরটিএ অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই অফিস যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয় তাহলে পুলিশের পক্ষ থেকে দালালদের আটক করতে কোনো কার্পণ্য করা হবে না।
বিআরটিএ অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আমার কাছে আপাতত: নেই। আমি এ বিষয়ে খোঁজখবর নেবো। দালাল চক্রের সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার সুযোগ নেই। যদি অফিসের কর্মকর্তারা দালালদের সাথে যোগসাজশ করে গ্রাহকদের হয়রানি করেন তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।