জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে পদ থেকে সরানো হয়েছে, তাদের বাদ দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।
জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাদের ব্যর্থতার জন্য পার্টিতে বিপর্যয় নেমে এসেছিলো। ওই দুজনকে শুধুমাত্র তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তারা সংসদে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করবেন। আশা করি সেখানে তারা যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারবেন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে জাতীয় মহিলা পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদভক্তদের জাতীয় পার্টি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিলো দাবি করে রওশন বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের প্রতি অনুরক্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো মতানৈক্য নেই। যারা পল্লিবন্ধুকে মুছে ফেলতে চায় তারা আলাদা থাকতে পারে। আমি কোনোভাবেই পার্টিকে ছোট করতে পারি না।
তিনি বলেন, যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল কিংবা যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিলো; তাদের সবাইকে আমি পল্লিবন্ধুর রেখে যাওয়া পতাকা তলে আবার নিয়ে এসেছি।
রওশন বলেন, জাতীয় পার্টির নারী নেত্রীরা তাদের অনেক দুঃখ-বেদনা, ক্ষোভের কথা বলেছেন। আমার মনটাও অনেক ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে। জাতীয় পার্টির এমন অগণিত নেতাকর্মীর মনের যন্ত্রণা ঘোচাতেই আজ আমাকে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে হয়েছে।
আগামী ৯ মার্চ পার্টির জাতীয় কাউন্সিলে যোগ্য নেতৃত্ব দায়িত্ব গ্রহণ করবে জানিয়ে রওশন বলেন, জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। সর্বস্তরের নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় উন্নয়নে সমানভাবে নারীদের কাজে লাগতে হবে। এটা নারীর অধিকার। সেই অধিকার আদায় করে নিতে হবে। দলের মধ্যেও নারী নেতৃত্বকে এই অধিকার কেড়ে নিতে হবে।
নারীদের উদ্দেশ্যে রওশন বলেন, শুধু দুঃখ-ক্ষোভের কথা মুখে বললেই চলবে না। প্রতিবাদ করে প্রতিকার আদায় করে নিতে হবে। এদেশের রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। দেশের তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছেন তিন নারী। তারা কেউ ব্যর্থ নন। এটাই এদেশের নারী সম্মানের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন। আরও উপস্থিত ছিলেন- জাপার রওশনপন্থি মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমুখ।