ভারতের আদালতে বিচার শেষ হলে প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার)কে দেশে ফিরিয়ে আনতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, ভারতে এক মামলায় অর্থপাচারের হোতা প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বিচার চলছে। বিচার শেষ হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এসব কথা বলেন।
খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দুদক খুবই সচেতন আছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ জজ আদালতে তার বিচার প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিচার শেষ হলে পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদক সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে।
এদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের মামলায় চার বছরের সাজার বিরুদ্ধে প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বান্ধবী অনিন্দিতা মৃধা ও তার বাবা সুকুমার মৃধা হাইকোর্টে আপিল করেছেন। আপিলে তারা সাজা বাতিল চেয়েছেন। রোববার বিচারপতি জাফর আহমদের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আপিল দায়ের করা হয়েছে। তাদের আইনজীবী হলেন অ্যাডভোকেট প্রণয় কান্তি রায়। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ৮ অক্টোবর গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে দুই মামলায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে পিকে হালদার ছাড়াও অন্য ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন।
এছাড়া পিকে হালদারসহ অন্য ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিরা হলেন— পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার, সহযোগী অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।