পাকিস্তানের জনগণের রায় মেনে নিতে নির্বাচিত রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান ‘জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। তিনি পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দিতেও তাঁদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মালালা গত শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এই আহ্বান জানান।

মালালা বলেন, ‘আমি বরাবরের মতো বিশ্বাস করি, আমাদের অবশ্যই ভোটারদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আশা করি আমাদের নির্বাচিত রাজনীতিকরা, সরকার বা বিরোধী দল- যে দলেরই হোক না কেন, পাকিস্তানের জনগণের জন্য গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেবেন।’

গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে ভোট হয়েছে (একটি স্থগিত)। আজ রাত পৌনে ১১ টা পর্যন্ত পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ঘোষিত ২৫৭ আসনের মধ্যে ১০২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন যাঁদের প্রায় সবাই পিটিআই-সর্মথিত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পিএমএলএন ৭৩ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা পিপিপি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যরা পেয়েছে ২৮ আসন।

উল্লেখ্য, ২৬ বছর বয়সী এই নারী ২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। নারী অধিকারকর্মী মালালা যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতির ওপর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০১৪ সালে নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে শান্তি পুরস্কার জিতেন তিনি।

নিজ দেশ ও জন্মস্থান পাকিস্তানে থাকা অবস্থায় নারী শিক্ষার পক্ষে কাজ করতেন মালালা। এতে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর কিছু সদস্য। তিনি যেন নারী শিক্ষার পক্ষে আর কাজ না করতে পারেন সেজন্য তার ওপর ২০১২ সালে গুলিবর্ষণ করে সশস্ত্র গোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্য।

পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য মালালাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।