বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ১০০ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যকে সেখান থেকে সরিয়ে কক্সবাজারের হ্নীলায় নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বাকিদের স্থানান্তর করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কড়া পাহারায় তাদের উখিয়ার হ্নীলাস্কুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)।

জানা যায়, গত দু’দিন ধরে বান্দরবান সীমান্তে সংঘর্ষ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হয়ে এসেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু ও ঢেকিবুনিয়া ক্যাম্প দুটি আরাকান আর্মি দখল করে নেয়ার পর সেখানে এখন গোলাগুলি বন্ধ রয়েছে। ভয় ও আতঙ্কে বান্দরবানের তমরু ও ঘুমধুম সীমান্ত থেকে সরে যাওয়া প্রায় ২০০ পরিবারের অধিকাংশই এখন ঘরে ফিরেছে। যে আশ্রয় কেন্দ্রটি খোলা হয়েছিল সেখানে থেকেও লোকজন চলে গেছে। কয়েকদিন বন্ধ থাকা তুমব্রু বাজারটিও এখন খুলেছে। তবে সীমান্তের ওপারে চলমান সঙ্ঘাতের কারণে সেখানে খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়ায় বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে চাকমা, তঞ্চঙ্গা ও রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। গত এক সপ্তাহে ১০০-এর বেশি চাকমা পরিবারকে আটক করে পুশ ব্যাক করেছে বিজিবি। সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া পাহারা দিয়ে যাচ্ছে বিজিবি। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তের বিজিবির চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা ও টহল বাড়ানো হয়েছে। তবে স্থানীয়রা মনে করছেন যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবারো খারাপ হতে পারে।

অন্যদিকে এ পরিস্থিতির কারণে ঘুনধুম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সেখান থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নেয়া হয়েছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় দেয়া হয়েছে মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপির ১৩০ সদস্যকে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় ঘরে ফেরা লোকজনদের প্রশাসন থেকে সার্বিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।