বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যা ঘটছে তা ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আজ তলব করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ তার সরকারের কাছে জানাবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বাংলাদেশীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং তাদের মর্টার শেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আসছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে মর্টার একটি বাড়িতে শেলের আঘাত হানলে এক নারীসহ দু’জন নিহত হয়েছেন।

আরাকান আর্মির সাথে সংঘর্ষের মধ্যে নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়া বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার সকালে) ২২৯ জন বিজিপি সদস্য ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

আহত বিজিপি সদস্যদের কক্সবাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রামে নেয়া হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ যখন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন এ ধরনের ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়।

এর আগে আজ সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো: মইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।