মিয়ানমার সীমান্তে দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধানের এ নির্দেশনার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে সংসদকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ওই ঘটনাটি বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ।

সোমবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খানের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে আইনমন্ত্রী প্রশ্নের জবাব দেন। এর আগে বিকাল পৌনে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর অনেকেটা যুদ্ধের মতো চলছে। যে কারণে সেখান থেকে সাধারণ মানুষ অনুপ্রেবেশের চেষ্টা করছে। গোলাগুলি হচ্ছে। সেই গোলা এসে বাংলাদেশে পড়ছে। পত্রিকার খবর অনুযায়ী সেখানে (বাংলাদেশি সীমানায়) কিছু গোলাও পাওয়া গেছে। মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোধহয় বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় জানতে চাই- আমাদের বর্ডার এবং স্থানীয় মানুষগুলোর নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল আছে। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে- ৭৮ জন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের আপাতত একটা স্কুলে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোচনা করার জন্য এবং তাদের ফেরত পাঠানো বা ফেরত যদি পাঠানো না যায় তাহলে অন্য ব্যবস্থা কী করা যায় সেটাও হবে। গতকাল (রোববার) যেটা হয়েছিল, মর্টার শেলে আমাদের একজন মারা গেছে। ওদেরও একজন মারা গেছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিডভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ওই ঘটনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারামিলিটারি বাহিনী (বিজিবি) রয়েছে তাদের ধৈর্য ধারণে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ডারের স্কুলটি বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।